আহলে বায়আতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্মরণে মাহফিলে শোহাদায়ে কারবালা-২০২০ইং যথাযথ মর্যাদায় সম্পন্ন
আহলে বায়আতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্মরণে মাহফিলে শোহাদায়ে কারবালা-২০২০ইং এ উপস্থিতির একাংশ |
আহলে বায়আতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্মরণে মাহফিলে শোহাদায়ে কারবালা-২০২০ইং এ উপস্থিতির একাংশ |
হযরত আবুল ফজল আব্বাস বিন আলী আলান্দার (রা:)’র মাজার |
আহলে বায়আত স্মরণে শোহাদায়ে কারবালা মাহফিল আগামী ১০ মহররম ১৪৪২ হিজরী, ৩০ আগষ্ট ২০২০ইং বাদে মাগরিব বন্দে আলী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
এতে তকরির পেশ করবেন বন্দে আলী জামে মসজিদ এর সম্মানিত খতিব মাওলানা মোহাম্মদ ছলিম উদ্দিন আলকাদেরী। সভাপতিত্ব করবেন জহির উদ্দিন মােহাম্মদ বাবর, সভাপতি, ইসলামী একতা সংঘ।
হযরত আব্বাস (রা:)। যিনি কারবালায় শহিদ হয়েছিলেন। তাঁর মাজার থেকে অনবরত পানি বের হচ্ছে, ১৪০০ বছর পার হবার পরও এখনো মাজার থেকে পানি বের হচ্ছে। ইরাকের কারবালায় ইমাম হুসাইন (রা:) এর মাজারের থেকে ৩০০ মিটারের মত দূরে অবস্থিত।
ইমাম হুসাইন (র) এর আওলাদ, শিশু আলী আজগরের জন্য পানি আনতে গিয়ে কারবালার প্রান্তরে, কুখ্যাত এয়াজিদ বাহিনীর হাতে, শহীদ হলেন হযরত আব্বাস অালান্দার (র)।
আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি ১৩৩৬ হিজরী অনুসারে ১৯১৬ সালে বর্তমান পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে হাজারা জিলার সিরিকোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত অলি-ই কামিল কুতুবুল আউলিয়া আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র দ্বিতীয় পুত্র। বংশ পরম্পরায় তিনি ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র ৩৭তম বংশধর। তিনি পিতৃকুল-মাতৃকুল দিক দিয়ে ছিলেন সৈয়্যদ বংশীয়। তাঁর শিরা-উপশিরায় সঞ্চালিত বংশ পরম্পরায় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু’র পূতঃপবিত্র রক্তধারা ও পুরুষানুক্রমে লব্ধ মহাসাধকের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক সোপান অতিক্রমে সক্ষম হন। তাঁর জন্মের পূর্বে ও শৈশবে সংঘটিত ঘটনাসমূহ দ্বারা এ কথা প্রতীয়মান হয়। সে সব ঘটনা হতে কয়েকটি উদ্ধৃত করা হল :
তাকবিরে তাশরিক কী?
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর নামাজের পর থেকে নিয়ে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত সময়কে তাশরিকের দিন বলে এবং এই সময়ে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর অন্তত একবার ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ এই তাকবির পড়া ওয়াজিব। এটিকে তাকবিরে তাশরিক বলা হয়। (হেদায়া : ১/২৭৫)
কোরআনুল কারীমে আল্লাহতায়ালা বলেন: ঊষার শপথ! আরো শপথ (জিলহজ মাসের প্রথম) দশ রজনীর! এবং শপথ জোড় (ঈদের দিন) ও বেজোড় (আরাফার দিন) এর। (সূরা-৮৯ ফজর, আয়াত: ১-৩, ই.ফা.)।